একজন ইমিগ্রেশন জজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আলজেরিয়া অথবা সিরিয়ায় এক সাবেক কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নথি অনুযায়ী, গ্রিন কার্ডের আবেদনপত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মার্চ মাসে, যখন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে। পরে জুন মাসে তিনি মুক্তি পান। আদালতের শুনানিতে বলা হয়, তার গ্রিন কার্ডের আবেদনে তথ্য গোপনের বিষয়টি সচেতনভাবে করা হয়েছে, যা কোনো অনভিজ্ঞ বা অজ্ঞ আবেদনকারীর ভুল নয়। আদালত মন্তব্য করে, এ ধরনের ইচ্ছাকৃত বিভ্রান্তি অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ভাঙার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, এবং আদালত এমন আচরণকে ক্ষমা করবে না।
তার আইনজীবীরা জানান, শুক্রবারের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য তাদের ৩০ দিন সময় আছে। এর আগে জুনে তার আশ্রয়ের আবেদনও আদালত খারিজ করে দেন এবং তাকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে তিনি এক বিবৃতিতে জানান, তার মুক্ত মত প্রকাশের কারণে প্রশাসন তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। পূর্বেও তাকে জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে বহিষ্কারের চেষ্টা করা হলেও আদালত সে সময় তা স্থগিত করেছিলেন। কিন্তু এবার প্রশাসন নতুন করে অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তার আইনজীবীরা আরও বলেন, বর্তমানে তার মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ফেডারেল কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে, এবং আদালতের অনুমতি ছাড়া তাকে বহিষ্কার করা সম্ভব নয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গ্রিন কার্ডের আবেদনে তিনি জাতিসংঘের একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার তথ্য, কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংগঠনের অংশ হওয়ার তথ্য এবং পূর্বে কর্মসংস্থানের অভিজ্ঞতা গোপন করেছিলেন। তবে তার পক্ষ থেকে জমা দেওয়া নথিতে এসব অভিযোগের অসঙ্গতি ও ভুল ব্যাখ্যার প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তর বা বিচার বিভাগ কোনো মন্তব্য করেনি।