ইউরোপের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরে সাইবার হামলার ফলে চেক-ইন ও বোর্ডিং সিস্টেমে বড় ধরনের বিঘ্ন দেখা দেয়। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হয় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর, পাশাপাশি বার্লিন ও ব্রাসেলস বিমানবন্দরেও একই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
শনিবার হ্যাকাররা চেক-ইন ও বোর্ডিং সিস্টেম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কলিন্স অ্যারোস্পেস-এর সফটওয়্যারকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এর ফলে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি, ফ্লাইট বাতিল ও সময়সূচিতে ব্যাপক দেরি হয়।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, রবিবার সকাল নাগাদ পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিলম্ব অব্যাহত থাকে। ব্রাসেলস বিমানবন্দর জানায়, রবিবার নির্ধারিত ২৫৭টি ফ্লাইটের মধ্যে ৪৫টি বাতিল করতে হয়েছে। অপেক্ষার সময় ৩০ থেকে ৯০ মিনিটের মধ্যে থাকলেও কার্যকর পদক্ষেপের কারণে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা কমানো গেছে।
বার্লিন ব্র্যান্ডেনবার্গ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এখনও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। তবে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় বড় ধরনের দেরি বা বাতিল হয়নি। অন্যদিকে, হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, অধিকাংশ ফ্লাইট যথারীতি চলছে, যদিও চেক-ইন সিস্টেমের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কাজ চলছে।
বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান সিরিয়ামের তথ্য অনুযায়ী, হিথ্রোতে দেরি তুলনামূলকভাবে কম, বার্লিনে মাঝারি মাত্রার দেরি এবং ব্রাসেলসে সবচেয়ে বেশি দেরি হয়েছে।
এ ধরনের সাইবার হামলা সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন খাতকে প্রভাবিত করেছে। স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে গাড়ি শিল্প পর্যন্ত একাধিক খাতেই হ্যাকাররা হামলা চালিয়েছে। এমনকি বড় একটি গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় এবং একটি সুপরিচিত খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানও কয়েকশ’ মিলিয়ন পাউন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলার উৎস খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রুত পুরোপুরি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।