আলঝেইমার একটি স্নায়ুরোগ যা ধীরে ধীরে স্মৃতি, চিন্তাশক্তি এবং দৈনন্দিন কাজ করার ক্ষমতা ক্ষুণ্ণ করে। সাধারণত বয়স্কদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং এটি ডিমেনশিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। যদিও এ রোগের স্থায়ী চিকিৎসা নেই, প্রতিরোধ ও সচেতনতা অনেক সাহায্য করতে পারে।
আলঝেইমারের সঠিক কারণ এখনও পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে মস্তিষ্কে অস্বাভাবিক প্রোটিন জমা, বয়স (৬৫+), পারিবারিক ইতিহাস এবং দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়ার সঙ্গে এটি সম্পর্কিত।
উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে—
-
স্মৃতিশক্তি ধীরে ধীরে হ্রাস, পরিচিত জায়গা বা নাম ভুলে যাওয়া
-
কথাবার্তায় অসংলগ্নতা
-
দৈনন্দিন কাজ করতে অক্ষমতা
-
ব্যক্তিত্ব ও আচরণে পরিবর্তন
চিকিৎসা এখন পর্যন্ত স্থায়ী না হলেও কিছু ওষুধ উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। মানসিক সমর্থন, পরিবার ও যত্নের গুরুত্ব অপরিসীম।
প্রতিরোধের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ—
-
নিয়মিত ব্যায়াম এবং শরীরচর্চা
-
সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার, বিশেষ করে উদ্ভিজ্জ খাদ্যভিত্তিক মেডিটারেনিয়ান ডায়েট
-
পর্যাপ্ত ঘুম
-
ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়ানো
-
মানসিকভাবে সক্রিয় থাকা, বই পড়া, খেলাধুলা বা নতুন কিছু শেখা
-
রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও রক্তের খারাপ চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখা
আলঝেইমার দিবস প্রতি বছর ২১ সেপ্টেম্বর পালিত হয়। দিবসটির মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আক্রান্ত ও তাঁদের যত্নকারীদের প্রতি সহানুভূতি এবং রোগের উপসর্গ ও প্রতিরোধ বিষয়ে তথ্য দেওয়া হয়।
সমস্যাটি শুধু রোগীর জন্য নয়, পরিবার ও সমাজের জন্যও চ্যালেঞ্জ। সময়মতো শনাক্ত ও যত্ন রোগীর জীবনমান উন্নত করতে সাহায্য করে।