সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী এক বাংলাদেশি নাগরিক ভাগ্য খুলে জিতেছেন বিপুল অঙ্কের অর্থ। বিগ টিকিট আবুধাবি লটারির সাম্প্রতিক র্যাফেল ড্র-তে ঘোষিত প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন তিনি, যার অর্থমূল্য ২ কোটি দিরহাম। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৬৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।
আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত লটারির ফলাফল ঘোষণার সময় এই বাংলাদেশির নাম উঠে আসে প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত হিসেবে। ৪৪ বছর বয়সী এই প্রবাসী দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহরে ট্যাক্সিচালকের পেশায় যুক্ত আছেন। তিনি গত ১৪ সেপ্টেম্বর লটারির টিকিট কিনেছিলেন। ভাগ্যের চাকা ঘুরল সেই টিকিট দিয়েই।
ফলাফল ঘোষণার মুহূর্তে লটারির উপস্থাপকরা ফোনে তাঁকে খবরটি জানান। হঠাৎ এমন সুখবর শুনে তিনি অবাক হয়ে যান এবং আনন্দে অভিভূত হলেও বেশি কিছু বলতে পারেননি। কেবল বারবার বলছিলেন, “ঠিক আছে, ঠিক আছে।”
তবে এই অর্থ তিনি একা পাচ্ছেন না। কেননা, লটারির টিকিটটি তিনি মোট ১১ জনের জন্য কিনেছিলেন। তাই জেতা অর্থ সবার মাঝে ভাগ হবে।
২০০৯ সাল থেকে তিনি আরব আমিরাতে বসবাস করছেন। পরিবার রয়েছে বাংলাদেশে। প্রতিমাসেই নিয়মিতভাবে লটারির টিকিট কিনতেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস ছিল একদিন না একদিন ভাগ্য অবশ্যই বদলাবে। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিল।
শুধু এই প্রথম পুরস্কারই নয়, এবারের ড্র-তে আরও কয়েকজন বাংলাদেশিও পুরস্কৃত হয়েছেন। চারজন প্রবাসী পেয়েছেন ৫০ হাজার দিরহাম করে (প্রায় ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা)। তাঁদের মধ্যে একজনও বাংলাদেশি। এছাড়া ‘স্পিন দ্য হুইল’ ক্যাটাগরিতে চারজন নির্বাচিত হয়েছেন। প্রত্যেকে জিতেছেন দেড় লাখ দিরহাম (প্রায় ৪৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা)। তাঁদের মধ্যে এক বাংলাদেশি প্রবাসী ১০ জনের সঙ্গে মিলে এই অর্থ ভাগ করে নেবেন।
শারজাহ শহরের আরেক বাংলাদেশি প্রবাসী লটারিতে একটি বিলাসবহুল গাড়ি, ‘রেঞ্জ রোভার ভেলার’, জিতেছেন।
এমন সৌভাগ্যপ্রাপ্তির ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের মধ্যে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের পাশাপাশি লটারির মতো ভাগ্যনির্ভর একটি উপায়ে একসাথে বিপুল অর্থ জিতে নেয়ার ঘটনা তাঁদের মাঝে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
এ যেন প্রমাণ, ধৈর্য আর বিশ্বাস নিয়ে চেষ্টা করলে একদিন না একদিন ভাগ্যের দরজা খুলবেই।